১৯৭১ সালে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়। সে যুদ্ধে ৩০ লক্ষ মানুষ শহীদ হয়। অসংখ্য বাঙালি মা-বোনের ইজ্জত বলি দিয়েছিল। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীরা বাঙালির ওপর হায়েনার মতো নৃশংস হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছিল। দেশ মাতৃকাকে বাঁচাতে সর্বাত্মক যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে বাংলার সর্বস্তরের জনগন।
মুক্তিযোদ্ধাদের রাষ্ট্রীয় উপাধি গুলো কি কিঃ
স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে মুক্তিযুদ্ধে যারা অবদান রেখেছে তাদের স্বীকৃতি প্রদানের আলোচনা শুরু হয়। মুক্তিযুদ্ধের বিভিন্ন সেক্টর, ব্রিগেড এবং ইউনিট থেকে পাওয়া তথ্য থেকে ১৯৭২ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি ৪৩ বীর মুক্তি যোদ্ধাকে বীরত্বসূচক সম্মান প্রদানের জন্য সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। পরবর্তী বছর অর্থাৎ ১৯৭৩ সালের ২৬ মার্চ পূর্বের ৪৩ জন সহ মোট ৫৪৬ জনকে বীরত্বসূচক রাষ্ট্রীয় উপাধি প্রদানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ১৯৭৩ সালের ১৫ ডিসেম্বর পূর্বের নিধারিত সকল মুক্তিযোদ্ধাসহ মোট ৬৭৬ জনকে রাষ্ট্রীয় উপাধি দেয়া হয়।
১। বীরশ্রেষ্ঠ -৭ জন।
২। বীর উত্তম -৬৮ জন।
৩। বীর বিক্রম -১৭৫ জন।
৪। বীর প্রতীক -৪২৬ জন।
১৯৯২ সালে খেতাবপ্রপ্ত মুক্তিযোদ্ধাদের পদক প্রদান করা হয়। ২০০১ সালের ৭ ই মার্চ হতে আর্থিক সম্মানি ভাতা চালু করা হয়।
মহান মুক্তিযুদ্ধে অবদানের জন্য নির্বাচিত রাষ্ট্রীয় খেতাব প্রাপ্তদের মধ্যে
সেনাবাহিনী -২৮৮জন।
নৌবাহিনী -২৪ জন।
বিমানবাহিনী -২১ জন।
পুলিশ -৫ জন।
বিজিবি -১৪৯ জন।
আনসার -১৪ জন।
গনবাহিনী -১৭৫ জন।
খেতাবপ্রপ্তদের মধ্যে দুজন মহিলা রয়েছেন। ক্যাপ্টেন সেতারা বেগম ও তারামন বিবি। উপজাতি রয়েছে একজন। তিনি হলেন ইউকেচিং মারমা। বিদেশি রয়েছে একজন যার নাম ডব্লিউ ও এস ওডারল্যান্ড।