বাদশা নাজ্জাশীর দরবারে মুসলমানদের পক্ষে কে প্রথম বক্তব্য উপস্থাপন করেন

মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাঃ মক্কায় ইসলাম প্রচার শুরু করলে কিছু সংখ্যক মানুষ ইসলাম ধর্ম গ্রহন করেন। মক্কায় তখন মুসলিমদের ওপর অত্যাচার ও নির্যাতন শুরু করে কাফের ও মুশরিকরা। অত্যাচারের মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় মুসলমানদের ব্যবসা ও চলাফেরা বন্ধ হওয়ার উপক্রম। মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাঃ তখন নির্যাতিত মুসলিমদের আবিসিনিয়ায় ( আবিসিনিয়া হচ্ছে বর্তমান ইথিওপিয়া) হিজরতের কথা বলেন। নবী বলেন, সেখানকার খ্রিস্টান বাদশা সৎ ও ন্যায়পরায়ন। তিনি কখনও কারও ওপর অন্যায় ও জুলুম করে না। তোমরা সেখানে যাও। যতদিন পরিস্থিতি ভালো না হয় তোমরা সেখানে থাকবে। প্রথম ধাপে ১১ জন পুরুষ ও ৪ জন নরী এবং  ৬১৩-৬১৬ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত মোট ১০১ জন নারী ও পুরুষ আবিসিনিয়ায় হিজরত করে। আবিসিনিয়ায় মুহাজিরদের (মুহাজির হচ্ছে যারা হিজরত অর্থাৎ এক দেশ ত্যাগ করে অন্য দেশে গমন করে তাদের মুহাজির বলে) নেতৃত্ব দেন হযরত জাফর ইবনে আবি তালিব। 

কুরাইশরা মুসলমানদের আবিসিনিয়া হতে ফেরত আনার জন্য বাদশা নাজ্জাশীর দরবারে তখন মিথ্যা তথ্য দিয়ে বাদশাকে বিভ্রান্তি করার চেষ্টা করে। কুরাইশদের মক্কায় ফেরত পাঠানোর দাবি জানান। 

তখন বাদশা গভীরভাবে চিন্তা করে বিষয়টি সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা লাভের জন্য মুসলমানদের দরবারে তলব করলেন। তখন বাদশা নাজ্জাশী মুসলমাদের তাদের ধর্ম এবং হিজরতের কারন জানতে চাইলে মুসলিমদের মনোনিত হিসেবে জাফর বিন আবি তালিব বলেন, আমরা এক আল্লাহর উপাসনা করি। আমরা যে ধর্ম গ্রহণ করেছি তার নাম ইসলাম। হযরত ‍মুহাম্মদ সাঃ হলেন আল্লাহর প্রেরিত নবী ও রাসূল সাঃ।বাদশা নাজ্জাশী মুসলমানদের কথায় খুশি হন।

বাদশা নাজ্জাশী মুসলমানদের আবিসিনিয়ায় আশ্রয় দেন।  তিনি বলেন, মুসলমানরা যতদিন প্রয়োজন আমার দেশে থাকবে। তাদের নিরাপত্তার দায়িত্ব আমার। কেউ তাদের কোন ক্ষতি করতে পারবে না। 

আরও পড়ুন:

মুক্তিযুদ্ধের সেক্টর কয়টি ও কি কি

বাংলাদেশের সবচেয়ে উঁচু জেলা কোনটি

প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রভাষা বাংলা কত নং অনুচ্ছেদ উল্লেখ আছে

কত সাল থেকে ২১ শে ফেব্রুয়ারি ‘শহীদ দিবস’ হিসেবে পালিত হয়

বাংলাদেশের সবচেয়ে উঁচু পাহাড়ের নাম কি

কয়টি দল নিয়ে যুক্তফ্রন্ট গঠন করা হয়

যুক্তফ্রন্টের নির্বাচনী প্রতীক কি ছিল

১৯৫৪ সালের নির্বাচনে যুক্তফ্রন্ট কত দফা ঘোষণা করে এবং দফাগুলো কি কি। বিস্তারিত।

যুক্তফ্রন্ট কেন গঠিত হয়েছিল