শব্দের ক্ষুদ্রতম অংশকে কি বলে

শব্দের ক্ষুদ্রতম অংশের নাম ধ্বনি। অর্থাৎ শব্দের ক্ষুদ্রতম অংশকে ধ্বনি বলা হয়।

ধ্বনিঃ

মানুষ তার বাগযন্ত্রের সাহায্যে যে অর্থপূর্ণ আওয়াজ করে বা শব্দ সৃষ্টি করে তাকে ধ্বনি বলে। 

ধ্বনি দুই প্রকারঃ

১। স্বরধ্বনি।

২। ব্যঞ্জনধ্বনি।

স্বরধ্বনিঃ

যে ধ্বনি মুখবিবরের কোথাও কোন বাঁধা ছাড়াই উচ্চারিত হয় তাকে স্বরধ্বনি  বলে। যেমন- ই, অ্যা, ও এ। 

স্বরধ্বনি তিন প্রকারঃ ১। হ্রস্বস্বর ২। দীর্ঘস্বর ৩। যৌগিকস্বর। 

হ্রস্বস্বরঃ যে স্বরধ্বনি উচ্চারনে সময় কম লাগে তাকে হ্রস্বস্বর বলে। যেমন, ই, উ, এ। 

দীর্ঘস্বরঃ যে স্বরধ্বনি উচ্চারনে অধিক সময় লাগে তাকে দীর্ঘস্বর বলে। যেমন- আ, ঈ, ঊ।

যৌগিকস্বরঃ দুই বা তার অধিক স্বরধ্বনি একসঙ্গে উচ্চারিত হলে তাকে যৌগিক স্বরধ্বনি বলে। যেমন-ঐ, ঔ। 

ব্যঞ্জনধ্বনিঃ

যে ধ্বনি উচ্চারনের সময় মুখবিবরের কোথাও না কোথাও বাঁধা পায় তাকে ব্যঞ্জনধ্বনি বলে।

প্রশ্নঃ ধ্বনির লিখিত রূপ কি?

উত্তরঃ স্বরধ্বনি দ্যোতক লিখিত সাংকেতিক চিহ্নকে ব্যঞ্জনবর্ণ বলা হয়। অর্থাৎ ধ্বনির লিখিত রূপ ব্যঞ্জনবর্ণ।

প্রশ্নঃ বাংলা ধ্বনি কত প্রকার?

বাংলা ধ্বনি দুই প্রকার। যথা- ১। স্বরধ্বনি ২। ব্যঞ্জনধ্বনি।

প্রশ্নঃ ধ্বনির প্রতীক কে কি বলা হয়?

উত্তরঃ ধ্বনির প্রতীক কে বর্ণ বলা হয়। ধ্বনি নির্দেশক চিহ্ন বা প্রতীককে বর্ণ বলা হয়।

Scroll to Top
Verified by MonsterInsights