মৌলিক মানবাধিকার কয়টি ও কি কি
এই পোস্টে মানবাধিকার কি? মৌলিক মানবাধিকার কি? মৌলিক মানবাধিকার কয়টি ও কি কি এ সম্পর্কে তথ্যমূলক আলোচনা উপস্থাপন করা হয়েছে।
মানবাধিকারঃ
মানবাধিকার বলতে সাধারনভাবে মানবের বা মানুষের অধিকারকে বুঝায়। মানবাধিকার বর্তমান বিশ্বসমাজ কর্তৃক স্বীকৃত। মৌলিক অধিকার থেকেই মূলত মানবাধিকারের জন্ম। মৌলিক অধিকারগুলো রাষ্ট্র দ্বারা সংরক্ষিত কিন্তু মানবাধিকার আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত। মৌলিক অধিকার লঙ্ঘিত হলে ন্যায়-বিচার নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের কর্তব্য। কিন্তু মানবাধিকার লঙ্ঘিত হলে রাষ্ট্র ন্যায় বিচার বাস্তবায়ন না করলে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এবং সংস্থা সোচ্চার হতে পারে এমনকি সেই রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারে।
মানবাধিকার ও মৌলিক অধিকার একে অপরের সঙ্গে সম্পর্কিতঃ
মৌলিক অধিকার ও মানবাধিকার একে অপরের সঙ্গে অঙ্গাঅঙ্গিভাবে জড়িত। মৌলিক অধিকার থেকেই মানবাধিকারের জন্ম। মৌলিক অধিকার রাষ্ট্র কর্তৃক স্বীকৃত, রাষ্ট্রের সংবিধান দ্বারা সংগৃহীত ও রাষ্ট্র দ্বারা বলবৎযোগ্য। মানবাধিকার আন্তর্জাতিক সংস্থা কর্তৃক ঘোষিত, বিশ্বের যে কোন প্রান্তে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হলে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় সেখানে হস্তক্ষেপ করতে পারে।
মৌলিক মানবাধিকারঃ
১৯৪৮ সালের ১০ই ডিসেম্বর জাতীসংঘ সাধারণ পরিষদ কর্তৃক যে মানবাধিকারগুলো গৃহীত ও সংরক্ষিত হয় সেগুলো মৌলিক মানবাধিকার। এই মৌলিক মানবাধিকারগুলো সমুন্নত রাখতে জাতীসংঘের সদস্যরাষ্ট্র একক ও যৌথভাবে অঙ্গীকারবদ্ধ।
মৌলিক মানবাধিকার কয়টি ও কি কি?
জাতীসংঘ ঘোষিত মৌলিক মানবাধিকার গুলোকে তিনটি ধারায় বর্ণনা করা হয়েছে।
১। সকল মানুষ জন্মগতভাবে স্বাধীন, সম-অধিকার ও সম-মর্যাদা সম্পন্ন। সকলেই বিবেক বিবেচনার অধিকারী। তারা প্রত্যেকে পরস্পর ভাতৃত্বমূলক আচরন করবে।
২। বিশ্বের সকল মানুষ সমান। তাই জাতী, ধর্ম, বর্ণ, নারী-পুরুষ, ধনী-গরিব, রাজনৈতিক মতাদর্শ সকলের জন্য সমান অধিকার ও স্বাধীনতা সমানভাবে প্রযোজ্য হবে।
৩। বিশ্বের সকল স্বাধী, পরাধীন দেশের নাগরিককে জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে সমদৃষ্টিতে দেখতে হবে। কোন পার্থক্য করা যাবে না।