বাংলাদেশের অন্যতম প্রাচীন পুরাকীর্তী নিদর্শন এই মহাস্থানগড়। প্রাচীন পুন্ড্র জনপদের রাজধানী ছিল এই মহাস্থানগড় যা পুন্ডুনগর নামে পরিচিত। প্রাচীন পুন্ডু নগরী বর্তমান বগুড়া জেলার করতোয়া নদীর তীরে অবস্থিত। এটি প্রাচীনকালে বৌদ্ধ ধর্মের শিক্ষাকেন্দ্র হিসেবে বেশ প্রসিদ্ধ ছিল। চীনা পরিব্রাজক ও পণ্ডিত হিউয়েন সাং সহ আরো অনেক চৈনিক ও তীব্বতিয় পন্ডিত এখানে শিক্ষালাভ করতে এসেছিলেন। প্রাচীন মৌর্য়, গুপ্ত, পাল ও সেন আমলে পুন্ডু নগরী প্রাদেশিক রাজধানী ছিল।
মহাস্থানের রাজা পরশুরাম এর সাথে মুসলিম সুফী সাধক শাহ সুলতান বলখীর মধ্যে সংঘটিত যুদ্ধে শাহ সুলতান জয়লাভ করলে এখানে ইসলামী শাসন কায়েম হয়। প্রাচীন সম্রাট অশোকের সময় পুন্ডু গুরুত্বপূর্ন প্রদেশ ছিল। এখানে সম্রাট অশোকের ব্রাহ্মী শিলালিপির সন্ধান পাওয়া গেছে। প্রত্নতত্ত্ববিদ আলেকজান্ডার কানিংহাম ও হ্যামিলটন বুকানন প্রাচীন এই পুন্ডু জনপদের রাজধানী পুন্ডুনগর বা মহাস্থানগর আবিষ্কার করেন। ২০১৬ সালে মহাস্থানগড়কে সার্কের সাংস্কৃতিক রাজধানী ঘোষনা করা হয়।
মহাস্থানগড় সম্পর্কে ৫ টি বাক্য
১। বর্তমান মহাস্থানগড় প্রাচীন পুন্ডু জনপদের রাজধানী ছিল।
২। এখানে সম্রাট অশোকের আমলের বিখ্যাত ব্রাহ্মী লিপির সন্ধান পাওয়া গেছে।
৩। বিখ্যাত মুসলিম সুফী সাধক শাহ সুলতান বলখী পরশুরামকে পরাজিত করে এই অঞ্চলে ইসলাম কায়েম করেন।
৪। মহাস্থানগড়ে প্রাচীন মুদ্রা, তৈজসপত্র, প্রাচীন শিলালিপি, টেরাকাট, মূর্তি ও স্বর্ণালংকার এর সন্ধান পাওয়া গেছে।
৫। ২০১৬ সালে সার্ক মহাস্থানগড়কে সাংস্কৃতিক রাজধানী ঘোষণা করে।