মহাস্থনগড় বাংলাদেশের অন্যতম প্রাচীন পুরাকীর্তি।এটি বগুড়া জেলার শিবগঞ্জ থানায় করতোয় নদী হতে ১৩ কিলোমিটার উত্তরে অবস্থিত। এটি প্রাচীন পুন্ড্রু জনপদের অংশ। প্রাচীন পুন্ড্রু জনপদের রাজধানী ছিল মহাস্থানগড় বা পুন্ড্রুনগর । খ্রিস্ট্রপূর্ব ২৫০০ অব্দে এখন প্রাচীন জনপদ গড়ে উঠেছিল। মৌর্য, গুপ্ত, পাল ও সেন রাজাদের আমলে পুন্ড্রু প্রাদেশিক রাজধানী ছিল। প্রাচীনকালে চীন, তীব্বত বিভিন্ন এলাকা হতে বৌদ্ধ ভিক্ষুরা এখানে শিক্ষালাভ করতে আসতেন। হযরত শাহ সুলতান বলখী যখন ধর্ম প্রচারে আসেন তখন মহাস্থাগড়ের রাজা ছিলেন পরশুরাম। যুদ্ধে বলখী পরশুরামকে পরাজিত করে ইসলাম কায়েম করেন।
মহাস্থানগড় সম্পর্কে ১০ টি বাক্য
১। মহাস্থানগড় প্রাচীনকালে পুন্ড্রুবর্ধন বা পুন্ড্রুনগর নামে পরিচিত ছিলো।
২। মহাস্থানগড় বগুড়া জেলার শিবগঞ্জ উপজেলায় করতোয় নদীর পাশে অবস্থিত ।
৩। চীনা পরিব্রাজক হিউয়েন সাং মহাস্থানগড়ে এসেছিলেন ৬৩৯-৬৪৫ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে।
৪। মহাস্থাানের রাজা ছিলেন নল। তার ভাই নীলের সাথে সবসময় তার দ্বন্দ্ব লেগেই থাকত। রাজা পরশুরাম এই দ্বন্দ্ব মিটিয়ে এখানকার রাজা হন।
৫। হযরত শাহ সুলতান বলখী (রা:) ইসলাম প্রচারে এসে পরশুরামের সাথে যুদ্ধে জয়লাভ করে এখানে ইসলাম প্রতিষ্ঠা করেন।
৬। ফ্রান্সিস বুকানন হ্যামিলটন, আলেকজান্ডার কানিংহাম, হেনরী বেভারীজ সহ আরো অনেকেই এই প্রত্নতাত্ত্বিক স্থানটি আবিষ্কারে অবদান রেখেছেন।
৭। ১৯৩১ সালে এখানে সম্রাট অশোকের আমলের ব্রাহ্মী শিলালিপির সন্ধান পাওয়া যায়।
৮। মহাস্থানগড়ে শাহ সুলতান বলখী রহ: এর একটি মাজার রয়েছে।
৯। এখানে বর্তমানে মহাস্থান জাদুঘর রয়েছে। যেখান প্রাচীন বিভিন্ন মুদ্রা, তৈজসপত্র, পোড়ামাটির ফলক, শিলালিপি, বিভিন্ন ধাতব সামগ্রী রয়েছে।
১০। ২০১৬ সালে মহাস্থানগড়কে সার্কের সাংস্কৃতিক রাজধানী ঘোষনা করা হয়।
আরও পড়ুন: পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহার কে আবিষ্কার করেন? পাহাড়পুর সম্পর্কে বিস্তারিত। মুজিবনগর সরকারের চারটি অবদান বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে সংগীত শিল্পীদের অবদান ৫ জন বুদ্ধিজীবীর নাম। প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণের ৫টি উপায় মুজিবনগর সরকারের সদস্য ছিলেন কে কে এ সম্পর্কে বিস্তারিত। অপারেশন সার্চলাইট এর নীল নকশা কে তৈরি করেন। অপারেশন সার্চলাইট সম্পর্কে বিস্তারিত। অপারেশন সার্চলাইটের নৃশংস হত্যাকান্ডের খবর বিশ্বে কীভাবে ছড়িয়েছিল। সাইমন ড্রিং এর পরিচয়।