পাহাড়পুর সম্পর্কে ১০টি বাক্য
পাহাড়পুর সম্পর্কে ১০টি বাক্য এই আর্টিকেলে আপনাকে স্বাগতম। এই আর্টিকেলে পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহার সম্পর্কে ১০টি বাক্য এবং পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহারের ইতিহাস, ঐতিহ্য এবং পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহার সম্পর্কে জনমনে যে সব প্রশ্ন ঊঁকি দেয় সেগুলোর উত্তর দেয়া দেয়া হয়েছে। তাই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ার অনুরোধ রইল।
বিহার শব্দটি সংস্কৃত শব্দ হতে এসেছে। যার অর্থ আশ্রম, শিক্ষাকেন্দ্র। বৌদ্ধবিহার মূলত বৌদ্ধ ধর্মের শিক্ষা ও ধর্মচচাকেন্দ্র। এই বিহারগুলোকে বৌদ্ধ ভিক্ষুদের বাসস্থান ও ধর্মীয় জ্ঞানচর্চার কেন্দ্র, শিক্ষা ও অনুশীলন কেন্দ্র হিসেবে তৈরি করা হয়। পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহারের নির্মাতা পাল বংশের দ্বিতীয় রাজা শ্রী ধর্মপাল দেব। তিনি অষ্টম শতকের শেষার্ধে বা নবম শতেকের শুরুর (৭৭০-৮১০) দিকে এই বিহারটি নির্মিত হয়েছে। এর প্রকৃত নাম ছিল সোমপুর বিহার।
প্রায় ১০ হেক্টর জমি জুড়ে ভূমি হতে প্রায় ৩০ মিটার উঁচুতে এই বিহারটি আবস্থিত। স্থানীয় লোকমুখে এই বিহারটি ‘গোপল চিতার পাহাড়’ নামে পরিচিত ছিল। সেই থেকেই এটি পাহাড়পুর নামে পরিচিত হয়ে ওঠে।
আরও পড়ুনঃ সাইবার অপরাধ গুলো কি কি সাইবার অপরাধ প্রতিরোধের ১০ টি উপায় অপারেশন সার্চলাইটের নৃশংস হত্যাকান্ডের খবর বিশ্বে কীভাবে ছড়িয়েছিল যুক্তফ্রন্ট কেন গঠিত হয়েছিল মুক্তিযুদ্ধে জর্জ হ্যারিসনের অবদান। মুক্তিযুদ্ধের সময় শরণার্থীরা কোথায় এবং কিভাবে আশ্রয় পেয়েছিল।
পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহারে ভারত উপমহাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলের বৌদ্ধ ভিক্ষু সহ চীন, তীব্বত, নেপাল, মায়ানমায়, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম, কম্বোডিয়া, মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়া হতে বৌদ্ধ ভিক্ষুরা ধর্মচর্চা ও শিক্ষালাভ করতে সোমপুর মহাবিহার এ আসত। পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার প্রায় ৩০০ বছর ধরে বৌদ্ধ ভিক্ষুদের ধর্ম ও শিক্ষাদান কেন্দ্র হিসেবে চলমান ছিল।ইউনেস্কো ১৯৮৫ সালে ইউনেস্কো সোমপুর বৌদ্ধ বিহারকে বিশ্ব ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।
পাহাড়পুর সম্পর্কে ১০টি বাক্য
১। পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহারের নির্মাতা পাল রাজবংশের দ্বিতীয় রাজা ধর্মপাল।
২। খ্রিস্টীয় অষ্টম শতকের শেষার্ধ হতে নবম শতকের শুরুর দিকে (৭৭০-৮১০) পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহারটি নির্মিত হয়। এর প্রকৃত নাম সোমপুর বিহার।
৩। প্রায় ১০ হেক্টর জমি জুড়ে ভূমি হতে প্রায় ৩০ মিটার উঁচুতে এই বিহারটি আবস্থিত।
৪। পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহারে ভারত উপমহাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলের বৌদ্ধ ভিক্ষু সহ চীন, তীব্বত, নেপাল, মায়ানমায়, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম, কম্বোডিয়া, মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়া হতে বৌদ্ধ ভিক্ষুরা ধর্মচর্চা ও শিক্ষালাভ করতে সোমপুর মহাবিহার এ আসত।
৫। পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার প্রায় ৩০০ বছর ধরে বৌদ্ধ ভিক্ষুদের ধর্ম ও শিক্ষাদান কেন্দ্র হিসেবে চলমান ছিল।
৬। পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহারে ১৭৭টি বৌদ্ধভিক্ষু কক্ষ রয়েছে। বিহারের মাঝখানে একটি মন্দির রয়েছে। মন্দিরের দেয়ালে গৌতম বুদ্ধ ও হিন্দু ধর্মের বিভিন্ন দেবদেবির মূর্তি ও পোড়ামাটির ফলক রয়েছে।
৭। আলেকজান্ডার কানিংহাম ১৭৮৯ সালে পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহার আবিষ্কার করেন।
৮। আকর্ষনীয় স্থাপত্যশৈলী, বিশালাকার আয়তন ও ঐতিহাসিক গুরুত্বের কারনে সোমপুর বিহার বর্তমানে বাংলাদেশ ও বিশ্বে একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপত্য নিদর্শন হিসেবে গণ্য করা হয়।
৯। বর্মন রাজবংশের রাজা জাতবর্মানের আক্রমনে বিহারটি ধ্বংস হয়ে যায়।
১০। ইউনেস্কো ১৯৮৫ সালে ইউনেস্কো সোমপুর বৌদ্ধ বিহারকে বিশ্ব ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।
আরও পড়ুনঃ মুক্তিযুদ্ধে স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন পক্ষের ভূমিকা বিস্তারিত। মুক্তিযুদ্ধে সংগীত শিল্পীদের অবদান সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য দেখুন এই পোস্টে। মহাস্থানগড় সম্পর্কে ৫ টি বাক্য মহাস্থানগড় সম্পর্কে ১০ টি বাক্য শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস সম্পর্কে ১০ টি বাক্য