পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহার কোথায় অবস্থিত আর্টিকেলে আপনাকে স্বাগতম। এই আর্টিকেলে পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহার কোথায় অবস্থিত এবং পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহার কি, পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহারের ইতিহাস, ঐতিহ্য এসব বিষয় আলোকপাত করা হয়েছে। আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ার অনুরোধ রইল।
পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহার কি?
বিহার একটি সংস্কৃত শব্দ। বিহার শব্দের অর্থ আবাস, মঠ, শিক্ষাকেন্দ্র। পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহার দক্ষিন হিমালয়ের বিহারগুলোর মধ্যে দ্বিতীয় বৃহত্তম। পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহারটি খ্রিস্টীয় অষ্টম হতে নবম শতক (৭৭০-৮১০) এর মধ্যে পাল বংশের দ্বিতীয় রাজা ধর্মপাল বিহারটি নির্মাণ করেন। পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহারের প্রকৃত নাম সোমপুর বিহার বিহার। সোমপুর বিহারটি আয়তনে অনেক বড় হওয়ায় একে সোমপুর মহাবিহার বলা হতো। এই বিহারটি ‘গোপল চিতার পাহাড়’ নামে পরিচিত ছিল। পাহাড়ের মতো ঢিপির মতো জায়গায় বিহারটি আবিষ্কৃত হওয়ায় স্থানীয় জনগন এক পাহাড়পুর নামে ডাকা শুরু করে। এক পর্যায়ে বিহারটির নাম পাহড়পুর হয়ে যায়।
পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার কোথায় অবস্থিত?
পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহারটি বাংলাদেশের নওগা জেলার বদলগাছি থানায় অবস্থিত। এটি বাংলাদেশের একটি আকর্ষণীয় পর্যটনকেন্দ্র ও গুরুত্বপূর্ণ প্রত্বতাত্ত্বিক নিদর্শন। বিহারটি প্রায় ৩০ মিটার উচ্চতায় ১০ হেক্টর জমিতে অবস্থিত। এখানে প্রায় ১৭৭ টি ভিক্ষুকক্ষ রয়েছে। বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল, শ্রীলংকা সহ চীন, তীব্বত, নেপাল, মায়ানমায়, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম, কম্বোডিয়া, মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়া হতে বৌদ্ধ ভিক্ষুরা ধর্মচর্চা ও শিক্ষালাভ করতে সোমপুর মহাবিহার এ আসত।
উপমহাদেশে শিক্ষা বিস্তারে পাহাড়পুর বিহারের গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে। একে মিনি নালন্দা বলে অভিহিত করা হয়ে থাকে। বিহারটি প্রায় ৩০০ বছর বৌদ্ধ শিক্ষাকেন্দ্র হিসেবে চালু ছিল। শ্রী অতীশ দীপংকর এই পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহারের আচার্য ছিলেন। এখানে হিউয়েন সাং থেকে শুরু করে সে সময়ের জগদ্বিখ্যাত পন্ডিতগন জ্ঞান অন্বেষনে এসেছিলেন।
আরও পড়ুন:
পাহাড়পুর সম্পর্কে ১০টি বাক্য
মহাস্থানগড় সম্পর্কে ৫ টি বাক্য
মহাস্থানগড় সম্পর্কে ১০ টি বাক্য
৫ জন বুদ্ধিজীবীর নাম।
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস সম্পর্কে ১০ টি বাক্য
প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণের ৫টি উপায়
মুজিবনগর সরকারের সদস্য ছিলেন কে কে এ সম্পর্কে বিস্তারিত।
পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার কে আবিষ্কার করেন?
ভারতে বৃটিশ রাজত্বকালে বুকানন হ্যামিলটন ১৮০৭-১৮০২ খ্রিঃ এর মধ্যে পাহাড়পুর পরিদর্শন করেন। হ্যামিলটনের পর ওয়েস্টম্যাক পাহাড়পুর পরিদর্শন করেন। ১৮৭৯ সালে আলেকজান্ডার কানিংহাম পাহাড়পুর পরিদর্শন করেন। কানিংহাম এই স্থানটি খনন শুরু করলে বলিহারের জমিদার খনন কাজে বাধা দিলে তিনি এই অবস্থায় কাজ স্থগিত করেন। পরবর্তীতে আইনের আওতায় ১৯১৯ সালে পাহাড়পুর প্রত্নতাত্ত্বিক স্থানটি খনন করা হয়।
অর্থাৎ মোটাদাগে একথা বলা যায় যে, পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহারটি আলেকজান্ডার কানিংহাম আবিষ্কার করেন।
১৯৮৫ সালে ইউনেস্কো পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহারকে বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।
আরও পড়ুন:
বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে সংগীত শিল্পীদের অবদান সাইবার অপরাধ গুলো কি কি
সাইবার অপরাধ প্রতিরোধের ১০ টি উপায়
অপারেশন সার্চলাইট এর নীল নকশা কে তৈরি করেন
অপারেশন সার্চলাইটের নৃশংস হত্যাকান্ডের খবর বিশ্বে কীভাবে ছড়িয়েছিল
বাংলাদেশের সবচেয়ে উঁচু পাহাড়ের নাম কি
যুক্তফ্রন্ট কেন গঠিত হয়েছিল মুক্তিযুদ্ধের সময় শরণার্থীরা কোথায় এবং কিভাবে আশ্রয় পেয়েছিল।
মুক্তিযুদ্ধে স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন পক্ষের ভূমিকা বিস্তারিত।
সম্রাট শাহজাহানের স্ত্রী সংখ্যা কত এবং সম্রাট শাহজাহানের পিতার নাম কি?