গারোদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় ও সামাজিক উৎসবের নাম কি?
ওয়ানগালা (wangala)। ওয়ানগালা গারোদের প্রধান ও সবচেয়ে বড় ধর্মীয় ও সামাজিক উৎসব। গারোরা এই উৎসবে দেবতা মিসি আর সালজং এর উদ্দেশ্যে উৎপাদিত ফসল উৎসর্গ করা হয়। আশ্বিন মাসে একেক গ্রামের মানুষ তাদের সামর্থ্যানুযায়ী তিন থেকে সাত দিন ধরে এই উৎসব পালন করে।
গারো কি?

গারো হচ্ছে বাংলাদেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের জেলাসমূহ যেমন, টাঙ্গাইল, জামালপুর, ময়মনসিংহ,নেত্রকোনায় বসবাসরত একটি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী। গারোরা তীব্বত-বর্মী জাতীগোষ্ঠীর অন্তর্গত। তাদের নিজস্ব ভাষা, ধর্ম ও সংস্কৃতি রয়েছে। তারা বাঙালী হতে সম্পূর্ন আলাদা একটি জাতীসত্তা।
গারোরা বাংলাদেশের কোন অঞ্চলে বাস করে?
গারো উপজাতি বাংলাদেশের উত্তর-পূর্বঞ্চলীয় জেলা যেমন, ময়মনসিংহ, টাঙ্গাইল, সুনামগঞ্জ, সিলেট, গাজীপুরে,নেত্রকোনা, শেরপুর ও জামালপুর এলাকায় বাস করে।
গারো মেয়েদের ঐতিহ্যবাহী পোশাকের নাম কি?
দকবান্দা বা দকসারি।
গারোদের আদি ধর্মের নাম কি?
সাংসারেক।
সাংসারেক কি?
গারোদের আদি ধর্ম। সাংসারেক ধর্মে প্রকৃতি পূজা করা হয়।
গারোদের বাড়ি কী নামে পরিচিত?
নকমান্দি নামে পরিচিত।
গারোদের নিজস্ব ভাষার নাম কি?
গারোদের নিজস্ব ভাষা আছে যা আচিক ভাষা বা গারো ভাষা নামে পরিচিত।
যুক্তফ্রন্ট কেন গঠিত হয়েছিল
১৯৫৪ সালের নির্বাচনে যুক্তফ্রন্ট কত দফা ঘোষণা করে এবং দফাগুলো কি কি। বিস্তারিত।
সমগ্র গারো জাতি কতটি দলে বিভক্ত?
গারো সমাজ ১৩টি দলে বিভক্ত। এরা হলো—আওয়ে, আবেং, আত্তং, রূগা, চিবক, চিসক, দোয়াল, মাচ্চি, কচ্চু, আতিয়াগ্রা, মাত্জাংচি, গারা গানচিং ও মেগাম
গারো জাতি কতটি গোত্রে বিভক্ত?
পাঁচটি গোত্রে বিভক্ত। গোত্রগুলো হচ্ছে—সাংমা, মারাক, মোমিন, শিরা ও আরেং।
গারোরা নিজেদের কি বলে পরিচয় দিতে ভালোবাসে?
আচিক মান্দে যার অর্থ পাহাড়ের মানুষ। ভাষাতাত্ত্বিকদের মতে, গারোরা যে ভাষায় কথা বলে তা মূলত সিনো-টিবেটান (Sino Tibetan) ভাষার অন্তর্গত। গারোদের কোনো লিপি বা অক্ষর নেই।তারা মুখেই শুধু তাদের ভাষা বলে থাকে।
গারো সমাজ ব্যবস্থা কোন প্রকৃতির?
মাতৃতান্ত্রিক।
গারোদের উত্তরাধিকারী সুত্রে সম্পত্তির মালিকানা কারা পায়?
মেয়েরা।
সালজং শব্দটি দ্বারা কি বুঝায়?
সালজং হচ্ছে গারোদের সূর্য দেবতার নাম।
বিরিশিরি প্রতিষ্ঠিত হয় কত সালে?
১৯৭৭ সালে।
বিরিশিরি (ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর কালচারাল একাডেমি) কি?
দেশের উত্তর পূর্বাঞ্চলে বসবাসরত বিভিন্ন ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী (যেমন, গারো, হাজং, কোচ, বানাই, ডালু,মান্দাই) । সব নৃ-গোষ্ঠীর রয়েছে নিজস্ব ভাষা, সামাজিক প্রথা, পোশাক-পরিচ্ছদ, খাদ্যাভাস, নৃত্য-গীত, লোকাচার তথা ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতি। সময়ের পরিক্রমায় যুগের আধুনিকতায় উপজাতিদের এসব সংস্কৃতি হারিয়ে যাচ্ছে। উপজাতিদের এসব সংস্কৃতিকে রক্ষা করার জন্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বিরিশিরি।
বিরিশিরি কোথায় অবস্থিত?
নেত্রকোনা জেলার দূর্গাপুর থানায়।
বিরিশিরি কোন মন্ত্রনালয়ের অধীন?
সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রনালয়।
আরও পড়ুন: